” আব্বাদ ইবনু তামীম (রহ.)-এর চাচা হতে বর্ণিত। একদা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এক ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হল যে, তার মনে হয়েছিল যেন সালাতের মধ্যে কিছু হয়ে গিয়েছিল। তিনি বললেনঃ সে যেন ফিরে না যায়, যতক্ষণ না শব্দ শোনে বা দুর্গন্ধ পায়।” (১৭৭, ২০৫৬; মুসলিম ৩/২৬, হাঃ ৩৬১)
হাদীসে অভিযোগকারী হচ্ছেন হাদীসের বর্ণনাকারী স্বয়ং আবদুল্লাহ ইবন যায়েদ ইবন আসেম আল-মাযেনী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু। আর এখানে ‘ধারণা’ হয় বলা হয়েছে। সুতরাং যদি বাতাস বের হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয় তখন ওযূ ভঙ্গ হওয়ার জন্য শব্দ বা গন্ধের প্রয়োজন হবে না।
হাদীসের শিক্ষাঃ
১. কোনো কিছুর যদি দু’টি অবস্থা হতে পারে যেমন হালাল ছিল তা দৃঢ়ভাবে নির্ধারিত কিন্তু পরবর্তীতে কোনো এক কারণে হারাম হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় তখন সেটাকে দৃঢ় অবস্থার ওপর রাখতে হবে। অর্থাৎ মূলনীতি হচ্ছে যা আগে ছিল তা-ই রাখা, যতক্ষণ না ভিন্নটি প্রমাণিত হচ্ছে।
২. শুধুমাত্র ওযূ ভঙ্গ হওয়ার বিষয়টি সন্দেহ হিসেবে আসলে তার কারণে সালাত থেকে বের হওয়া যাবে না।
৩. যখন কারো পিছনের রাস্তা দিয়ে বাতাস বের হবে তখন তা তার ওযূ নষ্ট করে দিবে, চাই বের হওয়ার বিষয়টি শব্দ শোনা কিংবা গন্ধ বা অন্য কিছুর মাধ্যমে সাব্যস্ত হবে।
৪. যেসব জিনিস বলতে লজ্জা লাগে সেগুলো না বলে পরিহার করাই উচিত।
৫. যার ওযূ আছে তিনি যদি ওযূ ভঙ্গ হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ করেন, তখন সে সন্দেহের কারণে তার ওযূ করা আবশ্যক নয়; যতক্ষণ না তার ওযূ ভঙ্গ হওয়ার বিষয়টি দৃঢ়ভাবে সাব্যস্ত হচ্ছে।
৬. হাদীসে শব্দ ও গন্ধের বিষয়টি দৃঢ় হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। নতুবা যদি সত্যি সত্যিই তিনি অনুভব করেন যে, তার থেকে বায়ু বের হয়েছে তখন ওযূ ভঙ্গ হয়ে যাবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ বর্ণনাকারীঃ আব্বাদ ইবনু তামীম (রহঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সহীহ বুখারী
আমরা যারা হাদিস সম্পর্কে জানতে আগ্রহী তাদের হাদিসের-পরিভাষা জানা জরুরী
সমসাময়িক যে কোন তথ্য ও আপডেট জানতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।